July 5, 2025, 12:35 pm
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজার উপজেলার দুর্গম হাওরাঞ্চলে তিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন—তিনি হয়ে উঠেছেন মানুষের নির্ভরতার অন্য নাম। নদীঘেরা জনপদে, যেখানে যাতায়াতের উপায় নৌকা, আর বর্ষা মানেই বিচ্ছিন্নতা, সেখানেই জীবনের এক নিবেদিত গল্প লিখে চলেছেন ডা. হাসান মাহমুদ।
২০০৮ সালে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকেই তিনি হাওরের প্রতিটি জনপদের পাশে থেকেছেন নীরবে, নিবেদনে। ঘরে ঘরে গিয়ে, নৌকায় ভেসে, কাদামাটি পেরিয়ে—চিকিৎসা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আশ্রয়কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন সাহস হয়ে, রোগীর শিয়রে বসে শোনেন তাদের জীবনের গল্প। মহামারিকালে যখন সবকিছু স্থবির, তখনও তিনি ছিলেন প্রথমসারিতে—নিজেকে ঝুঁকিতে রেখে মানুষের পাশে।
বন্যার সময় শুধু ওষুধ নয়, মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার, স্যানিটারি সামগ্রী, ও এক চিমটি স্বস্তির বাতাস। সেবার পরিধি তাঁর কাছে হাসপাতাল-ঘরের বাইরেও বিস্তৃত।
নোয়াখালী জেলা সদরের মাস্টারপাড়া গ্রামে জন্ম তাঁর। পিতা রহমত উল্লাহ’র, মা মৃত হাসিনা আক্তারের আদর্শে মানুষ হয়ে ওঠা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ভুজনা গ্রামের সাবিনা আক্তার বলেন,
‘হাসপাতালে কাউকে না পেলেও ডা. হাসান মাহমুদকে পাওয়া যায়। তিনিই আমাদের নির্ভরতা। শুধু ডাক্তার নয়, তিনি আমাদের একজন আত্মার মানুষ।’
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আবু সালেহ মো. আলাউদ্দিনের ভাষায়—
‘তিনি একজন পেশাজীবী চিকিৎসকের চেয়েও বড় কিছু—একজন হৃদয়ের মানুষ। দোয়ারাবাজারের হাওরজুড়ে একটাই নাম: মানবিক ডাক্তার—ডা. হাসান মাহমুদ।’